পাপমোচনের পরিভ্রমণ
মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান
এক অন্ধকার ঘরে
মোমের আলো জ্বেলে দেয়ালে
নিজেই নিজের ছায়া ফেলে পাঠ করি সেই ছায়া
এই আমার যাত্রা শুরু হয়েছে
কবেকার কোন যানে করে রুহের জগত থেকে
তারপর জান্নাতের মনোরম উদ্যানে আদম থেকে
পিতার ঔরস হয়ে মায়ের রেহেমে
অস্বচ্ছ তরলে ডুবে ডুবে অতলান্তিক পরিভ্রমণ!
আমার মতো অসংখ্য অগণিত আরো
অনেককে দৌড়ে পেছনে ফেলে
মাইকেল কলিন্সের মতো পৃথিবী নামক
গ্রহে করেছি সগর্ব পদার্পণ
এটিও এক মহাকাশ স্টেশন ভিনগ্রহী
সকল মাখলুকের।
পৃথিবীর কক্ষপথে প্রতি সেকেন্ড চলছি
ত্রিশ কিলোমিটার সুষম বেগে
আমার লড়াইয়ের চিহ্ন লিখে রাখে
জমিন আর জামায় লেগে থাকা ঘামের লোনা আস্তর
মনের মনিটরে ব্রাউজ করি ফেলে আসা দিন
পরের স্টেশনের দূরত্ব লিখা হয়ে যায়
ডিজিটাল সার্ভের নিখুঁত নকশায়
মোমের আলোর শ্বাসরোধ করে মোকার আঘাত
মৃত্যুর আগেই ছায়ামৃত্যু
ছায়া পাঠ শেষের আগেই ভেসে যেতে থাকি
অনন্তের দ্রাঘিমায়
শিশুপার্কের ট্রেনের মতো, আনন্দ ঘুর্ণির মতো
আমার পাপমোচন পরিভ্রমণের শেষপথ
যাত্রা শুরুর সেই রুহের জগত জানি;
জানি না কেবল পাপমোচনে কতটা হয়েছি সফল।
১০-০৫-২০২৩
Leave a Reply