কবি নজরুলের সঙ্গে, আমার এক কাপ চা, আর
মাসুদ পথিক
আর বিকালের চায়ের কাপ হাতে বসে আছি, বনঘেঁষা ধানক্ষেতের আলে
ঢালে, সামান্য ঢালুতে হিজল আর কদম গাছের সারি
চোখের সৌন্দর্য মিশ্রিত বাক্য ছুঁড়ে দিচ্ছি ওদিকে,
ওদিকে গোয়ালাদের উঁচুনিচু বাড়ি
গোয়ালার ছোট মেয়ে মিনতির শুনেছি সুনাম
ফাঁকে, এই ফাঁকে, একে একে জলফড়িং ও তৃষ্ণার্ত ষাঁড়গরু
খেয়ে গেলো চা, আমার হাতের কাপ থেকে
কাছে, কাছেই উঠলো বেজে কোনো নূপুর
নাকের চারধারে ঘুরছে ঘ্রাণ, বিদেশি বিজ্ঞাপন মাখা পাউডার, আর
কোথাও বাজছে বাঁশি, মোহন
সামনে, সামনেই কদমতলায় ত্রিশাল গ্রাম, ওদিকটায় কেউ বাজাচ্ছে বাঁশি
কাছে গেলে দেখা গেলো, গাছের নিচে বসে আছেন কবি নজরুল!
ইশারায় বললো বসতে, আমি মাটিতে বসতে বসতে বললাম, জয় গুরু
কবি বললো, তথাস্তু
দুটি ফড়িং উড়ে এসে বসলো কবির বাঁশিতে, আর সুরে সুরে নাচতে লাগলো
আমাদের কেটে গেলো, গেলো কেটে নিরবধিকাল, বাঁশি ও নূপুরের লহরীতে
পাশে বসেছিলো কেবল দুটি দলছুট নক্ষত্র, যারা একদা পৃথিবীতে বুনেছিলো প্রথম ধান
তাদের খোলা গায়ে ছিলো ঘাম, আর…নুন
Leave a Reply